স্বাধীনতার ঘোষণা বিতর্ক

আজ থেকে ঠিক ২৬ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৯ মার্চ দৈনিক সংবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা বিতর্ক : সাংবিধানিক ও আইনগত ব্যাখ্যা l লেখাটি খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের সময় l ইতিহাস বিকৃতির এক মহৌৎসবের সময় ছিল এটি l লেখার মূল বক্তব্য ছিল প্রকৃত অর্থে ও সাংবিধানিকভাবে বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক l তাই রাষ্ট্রপতি ও সরকারসহ কোনো রাজনৈতিক দল অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বললে সেটি সংবিধানের লঙ্ঘন হবে, যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় l তৎকালীন সময়ে গণমাধ্যমের উপর কড়া বিধি-নিষেধের কারণে আমার ওই প্রবন্ধের একটি প্যারা বাদ দেয়া হয়েছিল l তার জন্য দৈনিক সংবাদের ওই পাতাটি যিনি সম্পাদনা করতেন- খ্যাতিমান সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত- তিনি আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন l লেখাটি প্রকাশিত হবার পর সেদিনই তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই লেখার একটি কপি আমি নিজ হাতে দিয়েছিলাম তাঁর তৎকালীন সরকারি বাসভবন ২৯ মিন্টু রোডে l তিনি আমার সামনে পুরো লেখাটি পড়েছিলেন l লেখাটি পড়ে তিনি অনেক খুশি হয়েছিলেন l

দৈনিক সংবাদে আমার এই লেখার প্রায় ১৮ বছর পর আমাদের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যাসহ রায় ঘোষণা করেন l বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে ২৬ বছর আগে আমি সাংবিধানিক আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছিল l

আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবসে বাঙালীর মুক্তি সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি এবং বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি l